ছোট মুখে একটি বড় কথা,আমলাতন্ত্র ও দেশ নিয়ে ভাবনা
রোমেনা হক রুমা ঃ দেশে চিডিয়াখানা, হাতিরঝিল নাকি ঈদ বিনোদন কেন্দ্র।সাংবাদিকেরা কর্তব্যের খাতিরে সব টিভি চ্যনেলে সে সব স্থানে পাবলিকের ঘুরাফেরা আর আনন্দ সংবাদ, ভিডিওচিত্র সংগ্রহ করছে। আহারে দেশ! অভাগা জনগন!! একটি মুক্ত পার্কও নেই, বিনোদনের জন্য নেই কোন প্রাকৃতিক নৈসর্গ,পার্ক যেখানে বসে-শুয়ে কিছুটা পারিবারিক সময় কাটানোর যায়।
নাগরিক জীবনের অত্যবশ্যকীয় কিছু সুবিধা বাড়ানো দরকার এখন।জনগণ ” deserving better& more’ আরও কিছু সুবিধা ও অধিকার তাঁরা দাবী করতেই পারে।
বর্তমানে জনসংখ্যা নাকি সতের কোটি ছাডিয়েছে, সেখানে ১৭ টি বিনোদন কেন্দ্রও নেই। প্রধান মন্ত্রী হাসিনা আপা ঈদ বক্তব্য দিলেন। তাঁর ভাব সম্প্রসারণ হলঃ সঠিক নেতৃত্ব না এলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে,অগ্নি সন্ত্রাস একটি ভয়। আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিবাজরা যেন না আসে। স্বাধীনতা বিরোধীরা না আসে,সেটি আমরাও চাই। নেতৃত্ব বদল হলে দেশ ধ্বংস ও তছনছ করে ফেলবে। হয়তো তাই, কারণ বিরোধী দল এখন ক্ষুধার্ত! তাদেরও তেমন নতুন ও যোগ্য নেতৃত্ব নেই, উত্তরাধিকার ব্যতীত। জনগনের আর উত্তরাধিকারে আস্থা নেই। তাঁরা সঠিক , দক্ষ, বিশ্বাস যোগ্য নেতৃত্ব চায়।তবে নেতৃত্ব উড়ে আসবেনা তৈরি করতে হবে, সুযোগ দিতে হবে যোগ্যদের।
কিন্তু বিকল্প কি? সুশাসন কায়েম করা? সুশাসন শুরু হলে অনেকের স্বার্থে আঘাত লাগবে, চেয়ার নড়বড়ে হবে, পাওয়ার হাতছাড়া হবার আশংকা থাকবে? দেশ তো চলে “জোড় যার মুল্লুক তার” আইনে। বিশ্বের প্রচলিত নিয়মনীতি, জবাবদিহিতার বাইরে চলে বাংলাদেশ! সবাই জানি সেই “ওপেন সিক্রেট”বিষয়টি।
ছোট মুখে একটি বড কথা বলি,আমলাতন্ত্রের স্বার্থে আমলাগন এই সর্বস্তরের অনিয়ম টিকিয়ে রাখে আর রাজনীতিকগন চেয়ার রক্ষা করতেই সময় পাড় করেন। দেশপ্রেম ট্রেম মূখ্য নয়।আমজনতার হয়ে প্রিয় পি এম আপাকে বলি,নতুন নেতৃত্ব তৈরী করুন, তাদের সুযোগ দিন মত প্রকাশের ,কর্তৃত্ব করার ও পথ প্রদর্শন করুন। বুডো শকুনদের থাবা থেকে দেশ বাঁচান! চেয়ার হারানোর ভয় আপনাকে মানায় না । আপনি চেয়ারের ঊর্ধ্বে। সর্বদা উপরের নেতা সরকারী বা বেসরকারী যে কোন ভাবেই। সেহেতু সর্বস্তরে সুশাসন কায়েমের পদক্ষেপ নিন।সর্বস্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় “আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার তৃতীয় মেয়াদের অঙ্গীকার ছিল। শুধু কথায় নয় এবার কাজে রূপান্তরিত করতে হবে।কিন্তু প্রধান অন্তরায় আমলাতন্ত্র? তাদের মধ্যেও সাধুজন আছেন আপনি জানেন তারা কে কে। ভুলে গেলে চলবেনা যে: মূলতঃ আমলারাই পক্ষান্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল।আমার চাক্ষুস করা একটি সাধারন চাকরিরত আমলার উদাহরণ উল্লেখ করি, নাম গোপন করে। দু বছর আগে যিনি বনশ্রীত কানাডিয় বন্ধুর ‘ ৬ কাঠা জমি ৭ কোটি’ নগদ টাকায় কিনে নিলেন মাত্র ১৫ দিনের নোটিশে। আমরা ওয়েজ আর্নার হিসেবে কোটি কোটি টাকা দেশে পাঠালেও এক কোটি টাকা কখনো জমাতে পারিনা। আমজনতা ছাগলের ৩ নং বাচ্চার মত লাফায় রাজনীতিদেরকে দোষারোপ করে। মূল কালপ্রিট মুচকি হেসে দেশ বিদেশে সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করে একদিন দেশ ছেড়ে পাড়ি দেয়!! বুঝমান খুব নগন্যজন। এ ভাবে আর কত দিন? দেশের ডলার, টাকা, রুপী সব তো ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে!! আমাদের কষ্টের টাকা! জনগণের ট্যাক্সের টাকা। মেহনতি মানুষের ঘামে ভেজা টাকা। হজম হয় তো?