সীমানাবিহীন বিশ্ব
রোমেনা হক রুমা: আমেরিকার Sanctions বা Visa restrictions যা ই হোক না কেন,মানুষ ক্ষ্যাপার বা উজ্জীবিত হবার কোন সুযোগ নেই। জাতী হিসেবে যদিও লজ্জাজনক বিষয়টি, কূটনৈতিকভাবে সমাধান হলে উত্তম ছিল।এখন সরকারী বা বিরোধী দল যেই হোক সবার জন্য বিষয়টি প্রযোজ্য। ইতিমধ্যে জানলাম আমেরিকা থেকে রেমিট্যানস বেড়ে গিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা আইনটি বাংলাদেশের গুটি কয়েকজন বা লুটেরাদের জন্য চিন্তার বিষয়। যারা সে টাকায় সন্তান নাতিপুতীদের বিলাসি জীবনের গড়ে দিয়েছেন।অবসর নিয়ে সে দেশে পাড়ি দিবেন সে আশায়। সবাই জানে, আমেরিকা স্বার্থ ব্যতীত কিছু করোনা কোথাও। যুদ্ধবাজ জাতী পৃথিবীকে উত্তাল করে নিজভূমি কত চমৎকারভাবে সংরক্ষন করেছে। আমি লিবীয়ায় থেকেছি জীবনের কিছু বছর। সেই চমৎকার মানবিক বন্ধুভাবাপন্ন জনগণ সেখানে। দেশটিরও এখন গৃহ যুদ্ধের কবলে একমাত্র আমেরিকার নাক গলানোর কারণে।
এক সময় আমেরিকানগন সাদ্দাম হোসেন ইরাকে ব্যাপক বিধ্বংসী জীবানুঅস্ত্র রয়েছে বলেওভব্যাপক মানব বিধবংসী জীবানুঅস্ত্র তৈরি যা মানব সভ্যতার জন্য হুমকি বলে ধোঁয়া তুলে অভিযুক্ত করে ও ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিল। ব্যাপক মানব বিধ্বংসী জীবানুঅস্ত্র খুঁজে পায়নি অজুহাত ছিল ও তারপরও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। বৃটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার পরবর্তিতে এক ইন্টারভিউতে স্বীকারক্তি করেন ”ইরাক আক্রমনের ক্ষেত্র তৈরির কারনে ইরাকের জীবানু অস্ত্রের মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছিল”সিরিয়ার যুদ্ধে লাখ মানুষ মারা গেছে। সে দেশের এক চতুর্থাংশ মানুষ গৃহহীন, দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আইন বিরোধী এক মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি সে হত্যাও নীতিবহির্ভূত। ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে, সৌদি কর্তৃপক্ষ প্রথমে এই হত্যকাণ্ডের কথা অস্বীকার করেছিল। কিন্তু মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দাবি, সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমেরিকা কোন পদক্ষেপ নেয়নি ক্যস করে ফেলেছিল।সেখাও নেয়া হয়নি সঠিক পদক্ষেপ, ইয়েমেন হাজার মানবসন্তান অনাহারে,
কি নির্মম এই যুগে !! সব মানুষের সমান অধিকার বিশ্বে বেঁচে থাকার। বিশ্বের আইনবিরোধী কর্মকাণ্ডে কিছু দেশ নিজেদেরকে ঈশ্বরের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল,করোনা এসে যেন হাটু ভেংগে দিয়েছে গরীব দেশকে অ্যভয়েড করে।লাখ লাখ মানুষ হত্যা যেন সৃষ্টিকর্তার সহ্য হয়নি।
জনগনের দায় রয়েছে কাকে দেশের ভার বা সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিবে। সঠিক না হলে জনগণ জীবন দিয়ে বা ধুঁকে ধুঁকে তাঁর মূল্য পরিশোধ করবে, করছেও কোথাও কোথাও।গণতন্ত্রের কথা বক্তৃতা বা বক্তব্যে বললেও অনুন্নত দেশগুলোতে প্রকট স্বৈরতন্ত্র দেখা যায়। মোড়লদের উদ্ভব হয় জনগণের স্বস্তি হিসেবে কিন্তু তাঁর মুল্যো দিতে হয় সময়মত সঠিক পদক্ষেপ না নিতে পারলে। এ বিশ্বের সব সম্পদ, সৌন্দর্যের প্রতি সবার সমান দাবি, যে যেখানেই জন্মাক। বিশ্বভ্রমনে আমার তেমনি মনে হয়। কারো এত সম্পদ এত প্রাচুর্য কারো কিছুই নেই দীর্ঘ শ্বাস ব্যতীত, ব্যাথিত করে তখন অনুভূতিকে।