কথা বলার জন্যে কাউকে শাস্তি দেওয়া অন্যায়!
ইমতিয়াজ মাহমুদ: রাজবাড়ীতে একটা ফেসবুক পোষ্টের জন্যে সোনিয়া আক্তার নামে একজন নারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বলা হচ্ছে যে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন। এটা অন্যায়। কথা বলার জন্যে কাউকে গ্রেফতার করা বা শাস্তি দেওয়া অন্যায়।
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বা যে কোন নেতাকে নিয়ে সমালোচনা করা, কার্টুন আঁকা, ক্যারিকেচার করা, হাসি ঠাট্টা করা নাগরিকদের অবিচ্ছেদ্য অধিকার। অবিচ্ছেদ্য অধিকার মানে কি? অবিচ্ছেদ্য অধিকার মানে হচ্ছে এমন একটি মৌলিক অধিকার যেটা সাধারণত (বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া) সংসদে আইন করেও খর্ব করা যায় না।
কথা বলার জন্যে শাস্তি দেওয়া সাধারণত ন্যায় হয় না। এমনকি তিনি যদি কোন কটু কথাও বলে থাকেন তবুও সোনিয়া আক্তারকে অবিলম্বে মুক্তি দাবী করি। কেননা মানুষের বাক ও চিন্তার স্বাধীনতার চেয়ে কটূক্তি বড় নয়।
চট করে মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার চেয়ে খানিকটা কটু কথা সহ্য করা উত্তম। কেন? কেননা পান থেকে চুন খসলেই কথায় কথায় যদি আপনি মানুষকে শাস্তি দিতে থাকেন তাইলে ধীরে ধীরে মানুষ স্বাধীন চিন্তা করতে ভুলে যাবে। এমন একটা সময় আসবে যখন আমাদের তরুণরা বুদ্ধিবৃত্তিক বামন হয়ে বড় হবে। ওদের চিন্তার ক্ষমতাই থাকবে না।
সোনিয়া আক্তারের অবিলম্বে মুক্তি চাই। সোনিয়ার গ্রেফতারের নিন্দা করি। এটা অন্যায়। সোনিয়ার মুক্তি চাই, এক্ষুনি।
লেখকের ফেসবুক পোষ্ট