শিশুদের নিয়ে ভাবুন
ইমতিয়াজ মাহমুদ: ১) শিশু। এই শব্দটা শুনলেই আপনার কি হয়? হাজার মানুষের মধ্যে একজন কি দুইজন ব্যতিক্রম থাকতে পারে, কিন্তু আমি নিশ্চিত বলতে পারি যে সকল মানুষের মনে ‘শিশু’ এই শব্দটি শুনলেই একটি অপার্থিব মিষ্টি আপত্য ভালোবাসা জেগে উঠে। সাদা কি কালো, দেশী কি বিদেশী, হিন্দু কি মুসলিম কি বৌদ্ধ তাতে কি কি হু যায় আসে? না যায় আসে না। পুষ্প আর শিশু এদের দেখে মানুষ মাত্রই ভালোবাসে। আপনার সামনে যখন একটি শিশু দেখেন, আপনি কি করেন? আপনার আনন্দ হয় না? আপত্যস্নেহে আপনার মুখ নিজে থেকেই হাসি আসে না? আর শিশুটি যদি আপনার দিকে তাকিয়ে একটু হাসে! আপনিই বলুন।
কিন্তু শিশুদের জীবন সবসময় আনন্দময় হয় না। পৃথিবীজুড়ে বৈষম্য, অন্যায়, অবিচার আর নানারকম মন্দ মানুষ আর ওদের মন্দ আচরণ বিরাজ করে। দানবের মতো, রোগ জীবাণুর মতো, ভাইরাসের মতো। এইসব থেকে শিশুকে রক্ষা করে কে? শিশুর প্রথম রক্ষক হচ্ছে ওর মা। শিশুটির মা। আপনারা শ্রীকৃষ্ণের বাল গোপাল রূপের কথা জানেন, যশোদা মা তাঁকে গর্ভে ধারণ করেননি, তবুও মা। কৃষ্ণ তো দেবতা, শৈশবেই তিনি রক্ষা করেন গোটা পৃথিবীকে। আর সেই মহাশক্তিধর গোপালকেই কিনা বুকে আগলে ধরে রক্ষা করেন যশোদা মা। শুধু যশোদা মাই নয়, আমাদের সকলের মা যেন একইরকম, অশক্ত দুর্বল এই নারীটি, তিনিই যেন গোটা পৃথিবীর বিরুদ্ধে লড়বার শক্তি ধরেন কেবল শিশুকে রক্ষা করার জন্যে।
মায়ের পর শিশুর সবচেয়ে বড় রক্ষাকর্তা হওয়ার কথা রাষ্ট্র। না, ভুল পড়েননি। পিতা নয়, ভাই নয় অন্য কেউই নয়। আমাদের পৃথিবী, এই পৃথিবীর প্রায় সকল দেশ মিলে একসাথে একটা কনভেনশন পাশ করেছে ১৯৮৯ সনে- Convention on the Rights of the Child বা শিশু অধিকার সনদ। আপনি হয়তো জানেন তবু মনে করিয়ে দিই- জাতিসংঘের গৃহীত সকল সনদের মধ্যে এই সনদটিই সবচেয়ে বেশিসঙ্খ্যক রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিয়েছে, মেনে নিয়েছে এবং বাস্তবায়ন করবে বলে কথা দিয়েছে। ১৯৮৯ সনে কনভেনশনটা পাশ হয় আর কার্যকর হয়ে ১৯৯০ থেকে। এই কনভেনশন দেখলে আপনি দেখবেন, রাষ্ট্র যেন শিশুর জন্যে পিতার চেয়েও বড় রক্ষক, এমনকি প্রয়োজনে পিতার হাত থেকেও শিশুকে রক্ষা করবে রাষ্ট্র।
(২)
কি আছে সেই কনভেনশনে যে জন্যে আমরা বলছি যে মায়ের পরেই রাষ্ট্র হচ্ছে শিশুর সবচেয়ে বড় রক্ষক? কারণ এই কনভেনশন হচ্ছে সকল জাতি ও রাষ্ট্র মিলে গৃহীত এমন একটা দলিল যার প্রতিটা রাষ্ট্র স্বেচ্ছায় স্বানন্দে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে যে সকলেই শিশুদের অধিকারগুলি প্রতিষ্ঠার জন্যে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় আইনগত সংস্কার করবে, প্রশাসনিক পরিবর্তন করবে, বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে- অর্থাৎ যা কিছু করা দরকার করবে, কিন্তু শিশুদের অধিকার গুলি নিশ্চিতভাবে রক্ষা করবে এবং সেই কনভেনশনে প্রদত্ত সকল প্রতিশ্রুতি পালন করবে। আপনারা জানেন যে আমাদের দেশে শিশু আইন হয়েছে, শিশু আদালত এবং আদালত শিশি অভিযুক্তদের বিচার ইত্যাদি সম্পর্কে বিশেষ বিধান হয়েছে। এইগুলি হচ্ছে সেই কনভেনশনের প্রতিশ্রুতি পালনেরই অংশ।
কনভেনশনে দেখবেন প্রথমত শিশুর কিছু অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অধিকারগুলি চিহ্নিত করার পর রাষ্ট্রসমূহ অঙ্গীকার করছে যে এইসব অধিকার বাস্তবায়নের জন্যে রাষ্ট্র প্রয়োজনের ওদের আইন পরিবর্তন করবে, প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিবে এবং বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (আমি বলবো যে এই পোস্ট পড়া শেষ করে কনভেনশনটা একবার নিজেই পড়ে নিন। ইউনিসেফের ওয়েবসাইটে আছে, আরও নানা জায়গায় পাবেন- ফ্রি। বেশী বড় না, চুয়ান্নটা অনুচ্ছেদ আছে, চট করে পড়ে ফেলতে পারবেন।) সবগুলি অধিকার আর প্রতিকার ইত্যাদি আলোচনা করবো না। শুধু বলে নিই, কনভেনশনে একদম শক্ত করে বলা হয়েছে যে, শিশুকে কোনোভাবেই মানসিক নির্যাতন করা যাবে না, শারীরিক নির্যাতন করা যাবে না এবং যৌন হয়রানী করা যাবে বা বা যৌন সংক্রান্ত উদ্দেশ্যে শিশুদের ব্যবহার করা যাবে না।
রাষ্ট্র কী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে লিখিতভাবে? প্রতিটা রাষ্ট্র বলেছে যে আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে শিশুদেরকে এইরকম নির্যাতন থেকে রক্ষার জন্যে আইন আদালত পুলিশ মিলিটারি সব মিলিয়ে যে যে ব্যবস্থা নিতে হয় আমরা নিব। আর শিশুর পিতামাতা যদি শহুকে এই প্রকার নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে না পারে তাইলে? তাইলে রাষ্ট্রের কাজ হচ্ছে শিশুকে সেরকম পিতামাতার হাত থেকে নিয়ে এসে শিশুর বিকাশের জন্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এইজন্যেই আমরা বলছি যে মায়ের পড় শিশুর সবচেয়ে বড় রক্ষক হওয়ার কথা রাষ্ট্র।
(৩)
এইসব কথা বলছি তার কারণ হচ্ছে আমাদের দেশে আমি দেখতে চাই যে আমাদের রাষ্ট্র শিশুর জন্যে তার প্রতিশ্রুত দায়িত্বটা পালন করুক। কিছু পদক্ষেপ যে আমাদের দেশে গ্রহণ করা হয়নি সেটা নয়- বেশী কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের বিচার ব্যবস্থায় শিশুবান্ধব বেশ কিছু বিধান ঠিকই করা হয়েছে, স্কুলে শিশুদের উপর যাতে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করা না হয় সেইসব বিধান করা হয়েছে। এইসব বিধান পর্যাপ্ত হয়তো নয়, কিন্তু একদম অকার্যকরও নয়। অগ্রগতি কিছুটা হয়েছে। ইউনিসেফের নানা প্রকাশনা আছে, যেগুলি থেকে আপনি গোটা বিশ্বের শিশু অধিকারের বরমান হাল জানতে পারবেন, সেগুলি দেখলে দেখবেন যে গোটা দুনিয়ার অবস্থা বিবেচনা করলেও শিশুর জন্যে অনুকূল একটি পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে অনেক পথ এখনো বাকি।
কিন্তু আমাদের দেশের বিশেষ কিছু সমস্যা আছে যেসব ক্ষেত্রে আমাদের এক্ষুনি কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে একটা হচ্ছে মাদ্রাসাগুলিতে শিশুর প্রতি যে নির্যাতন হয় সেইগুলির দিকে নজর দেওয়া। সব মাদ্রাসায় হয়তো নয়, কিন্তু আবাসিক কিছু মাদ্রাসায় শিশুর প্রতি যেরকম আচরণ সেগুলি বন্ধ করার জন্যে এক্ষুনি সরকারের পক্ষে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী। এইসব মাদ্রাসায় শিশুদের প্রতি যেরকম নৃশংসতা হয় সেগুলি আমরা যা জানিনা তা নয়। আমরা খবরের কাগজে দেখি, ব্যক্তিগতভাবে তথ্য পাই, আর এখন তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তৎপর হয়েছে সেগুলিতে খবর মিলে। আবাসিক মাদ্রাসাগুলিতে শিশুদেরকে নিরদয়ভাবে প্রহার করা হয়, গাদাগাদি ক্রে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ওদেরকে রাখা হয়, আর যৌন নির্যাতন হয়।
মাদ্রাসা শিক্ষা চালু থাকবে কি থাকবে না সেই আলোচনা আমি করছি না। সেটা ভিন্ন আলোচনা। শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা বন্ধ করার জন্যে রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করবে এটাতে তো কোন বিতর্কের সুযোগ নাই। ২০১১ সনে আমাদের সরকার তো শিশু নীতি গ্রহণ করে লিখিত ভাবে বা আনুষ্ঠানিকভাবেই বলে দিয়েছে যে শিশুর প্রতি সহিংসতা, ভিক্ষাবৃত্তি, শিশুর প্রতি শারীরিক মানসিক ও যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং এই লক্ষ্যে জনসচেতনতা তৈরি করবে।
(৪)
সরকারের কাছে শুধু প্রতিশ্রুতি পালনের অনুরোধ জানাই। প্রতিষ্ঠানটা মাদ্রাসা নাকি স্কুল নাকি চার্চ নাকি অন্য কিছু সেটা দেখতে বলছি না- সেটা অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু একটা শিশুকে একজন লোক লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকবে, শিশুটি চীৎকার করে ‘ও মা গো’ বলে কাঁদবে আর যন্ত্রণায় কাৎরাবে- এই দৃশ্য কেন হবে? কেন হবে। কেন আমাদেরকে এইরকম দৃশ্যের কথা শুনতে হবে। যে লোকটি শিশুকে প্রহার করে আমরা কেন ওর হাত ভেঙে দিব না? আমাকে বলেন, শিশুর কায়ে যে হাত তুলবে সে শিক্ষক হোক বা যেইই হোক, ওর হাত আমরা কেন ভেঙে দিব না? আমার যদি ক্ষমতা থাকতো আমি সেইসব ছাত্রাবাসের প্রত্যেকটা ভেঙে দিতাম যেখান থেকে শিশুর কান্নার শব্দ পাওয়া গেছে। সেইসব প্রতিটা লোককে ধরে শাস্তি দিতাম যারা শিশুকে আঘাত করেছে।
আর শিশুর প্রতি যেসব লোক যৌন সন্ত্রাস করে ওদের জন্যে তো মৃত্যুদণ্ড। সেদিনও একটা আবাসিক মাদ্রাসায় কয়েকজন শিক্ষক ধরা পড়েছে, ঢাকায়ই সেই মাদ্রাসা, বেশ ব্যায়বহুল মাদ্রাসা। আপনি কেবল কল্পনা করুন, আপনার আট নয় দশ বা বারো বছরের শিশুটিকে মধ্য রাতে ডেকে নিয়ে ঐসব করছে ওর মাদ্রাসার শিক্ষক- ভীত সন্ত্রস্ত যন্ত্রনাকাতর লাঞ্ছিত শিশুটির কথা কেবল কল্পনা করুন। মৃত্যুদণ্ডও কি পর্যাপ্ত সাজা হয়?
সরকার আমাদের শিশুদেরকে রক্ষা করুন- এটা তো বেশী কিছু চাওয়া নয়। এর জন্যে সরকারকে খুব বেশী কিছু করতেও হবে না- কোন মাদ্রাসা বন্ধ করতে হবে না বা ওদের শিক্ষা কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করতে হবে না। শুধু প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়মিত মনিটর করতে হবে। সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের লোকজন নিয়মিত প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবে, দেখবে সব ঠিক আছে কিনা, শিশুদের ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া দিচ্ছে কিনা, শিশুদের প্রতি কোন নির্যাতন করা হয় কিনা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের লোকের নিয়মিত প্রতিষ্ঠানগুলি পরিদর্শন করবে, শিক্ষকদের লিস্টি করবে, সবকিছু দেখবে। কবপ্রকার গড়বড় দেখলেই প্রতিষ্ঠানটি যারা চালায় ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এইগুলির জন্যে বাড়তি খুব একটা খরচ লাগবে না, নতুন লোক নিয়োগ দিতে হবে না- কেবল বিদ্যমান সমাজ সেবা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অন্য সব অফিসগুলিকে সক্রিয় করা।
(৫)
আর মাদ্রাসার শিক্ষকদের একটা পুর্নাঙ্গ ডেটাবেইজ বা তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা খুব জরুরী হয়ে গেছে। এইটাও খুব কঠিন কাজ না। এখন আমাদের সকলের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, সকলের ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে সুলভ আছে। শুধু যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে যে প্রতিটা প্রতিষ্ঠানে কোন শিক্ষক বা কর্মকর্তা বা কর্মচারী নিয়োগ দিতে হলে ওর তথ্য সরকারের কাছে দিতে হবে- এইটা বাধ্য করতে হবে। কিছু মাদ্রাসা আছে যারা সরকারের কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেয় না, নিবন্ধন করে না- একদম স্বতন্ত্রভাবে চলে। ওরা সাধারণট সরকারকে কোন তথ্য দিতে চায় না। কিন্তু শিশুর সুরক্ষা যে তো ভিন্ন প্রশ্ন, আর অপরাধ দমনের প্রয়োজনে সরকার সকলের কাছ থেকেই তথ্য নিতে পারে। সুতরাং শিশুদের পাঠদান করা হয়ে এমন কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ডেটাবেইজ করা কঠিন হবে না।
ডেটাবেইজ করে কি হবে? মাদ্রাসায় যে শিশু নির্যাতন হয়, এইসব ঘটনায় শিক্ষকগুলি ধরা পড়লেও কি হয়, ওরা কে এলাকা থেকে অন্য এলাকায় গিয়ে ঠিকই কোন একটা আবাসিক মাদ্রাসায় কাজ নেয়। এইভাবে এইসব শিশু নির্যাতক নির্বিঘ্নে শিশু নির্যাতন চালিয়ে যেতে থাকে এক মাদ্রাসা থেকে আরেক মাদ্রায় গিয়ে নতুন নতুন শিশুকে শিকার বানায়। এইসব প্রতিষ্ঠানের না থাকে কোন যথাযথ রেকর্ড, না থাকে কোন যথাযথ নিয়োগ প্রদ্ধতি, না থাকে অন্য কিছু। যাকে ইচ্ছা তাঁকে যখন ইচ্ছা তখন নিয়োগ করে দেয়, থাকার জায়গা দেয়, বেতন দেয় খুব আমানয়, আর শিকারের জন্যে এইসব পিডোফাইলের হাতে তুলে দেয় শিশু। কোন অভিভাবক যখন কোন হুজুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, ওরা তখন শিক্ষকটিকে বেড় করে দেয়, আর শিক্ষকটি গিয়ে আরেকজ শহরে গিয়ে আরেক মাদ্রাসায় একই কাণ্ড শুরু করে। এইসব নিবারণ করা যাবে যদি সরকার মাদ্রাসার শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করে আর কে কোথায় যাচ্ছে সেটা লক্ষ্য রাখে।
আবার বলছি, শিশুদেরকে নির্যাতন থেকে রক্ষা করা- এটা আমদের সকলের দায়িত্ব, রাষ্ট্রের দায়িত্ব তো বটেই। সরকার এটা করছে না। বিশেষ করে মাদ্রাসাগুলির ক্ষেত্রে সরকার যে কোন পদক্ষেপ নেয়না সেটা তো একদম দৃশ্যমান। এইটা তো হতে পারে না। সর্বকর্মের কাছে দাবী করছি- অনুনয় করছি- শিশুদেরকে রক্ষা করুন। এটার জন্যে খুব বেশী কিছু করতে হবে না, আরেকটা পদ্মা সেতু বানাতে হবে না, আসমানে রকেট মারতে হবে না। শুধু আপনাদের সিদ্ধান্ত দরকার। শিশুদেরকে রক্ষা করুন প্লিজ। শিশুদেরকে যারা নির্যাতন করে ওদেরকে ছেড়ে দেওয়ার কোন অজুহাত থাকতে পারে না।
*লেখকের ফেসবুক পোষ্ট