টরন্টোয় চুরাশিয়ানদের মিলনমেলায় প্রাণের উচ্ছ্বাস
কানাডায় বসবাসরত চুরাশিয়ান যারা ১৯৮৪ সালে মাধ্যমিক পাশ করেছে তাদের এক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয় ২০ জানুয়ারি, শুক্রবার। টরন্টোর ডেনফোর্থস্থ লবঙ্গ রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এ মিলনমেলায় প্রাণের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন প্রায় সত্তরজন সমবয়সী চুরাশিয়ান ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। প্রাণের এ অনুষ্ঠানে আড্ডা, গান, স্মৃতিচারণ, ছবি তোলাসহ হই-হুল্লোড়ে কেটেছে সবার সময়।
সন্ধা সাতটায় চুরাশিয়ান সদস্য ইমাম উদ্দিনের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর চলে পরিচয় পর্ব। রাত যত বাড়ছিল ততই রঙিন হয়ে উঠে অনুষ্ঠানস্থল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিশেষ করে আড্ডা, গান, কবিতা আবৃত্তি,স্মৃতিচারণ, কেক কাটা, ছবি তোলাসহ হই-হুল্লোড়ে কেটেছে প্রতিটি সময়। এক ফাঁকে হয়েছে নৈশভোজ। তৌহিদা চৌধুরী ও আলমগীর কবিরের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন,চুরাশিয়ান শিখা রউফ, অমিত শুভ, আতিয়া আহমেদ, জাকির সাইদ প্রমুখ। মো. ফারুক, আজিম অপুর্ব, মঈন শামশাদ চুরাশিয়ান পরিবারের সদস্য হিসেবে গান করেন।
কবিতা আবৃত্তি করেন যথাক্রমে দিলরুবা বাবলি, ম্যাক আজাদ, সুফিয়া নাজনীন প্রমুখ। আর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ও স্মৃতিচারণ করেন ড. মো. হানিফ, কানিজ ফাতেমা চৌধুরী, সোলায়মান তালুত রবিন, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া থেকে আগত চুরাশিয়ান ডা. গোলাম আশিক খান, নিউইয়র্ক থেকে আগত সোনিয়া সুলতানা শম্পা প্রমুখ।
টরন্টোয় চুরাশিয়ানদের এই মিলন মেলায় সমবয়সী প্রিয় বন্ধুদের সান্নিধ্য পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন অনেকেই। কেউ স্মৃতিচারণ করেন পুরনো দিনের। কৈশোরের সমাপ্তি আর তারুন্যের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে চুরাশি ছিল সবার জীবনের বাঁক পরিবর্তনের গল্প। ৩৯ বছর আগের তারুণ্যের সেই চুরাশি আর ২০২৩ এর বার্ধক্যের হাতছানিতে নতুন করে ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনছে কানাডার চুরাশিয়ানদের অনেকেই। সে গল্পটাই উঠে এসেছে বিভিন্নজনের আলোচনায়।
মন শুধু মন ছুঁয়েছে ও সেতো মুখ খুলেনি, সুর শুধু সুর তুলেছেভাষা তো দেয় নি, চুরাশিতে জনপ্রিয় সোলসের সে গানটি সবাই একসাথে গেয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন। আর সংক্ষিপ্ত সমাপনী বক্তব্য দেন চুরাশিয়ান মিজান রহমান।