গাইবান্ধা নির্বাচন: প্রশাসনের ভুমিকা পর্যালোচনা দরকার
শওগাত আলী সাগর: জাতীয় নির্বাচনের আগের কোনো কোনো উপনির্বাচন রাজনীতিতে ’দৃষ্টান্ত’ হিসেবে বিবেচিত হয়। গাইবান্ধার উপনির্বাচনকে তার একটি স্যাম্পল হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ‘ভোট গ্রহণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায়’ নির্বাচন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে নির্বাচন কমিশন। যদিও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, কোনো কেন্দ্রেই নৈরাজ্য হয়নি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্য পরষ্পর বিরোধী এবং গুরুত্ব সহকারে মনোযোগের দাবি রাখে।
সিইসি সাংবাদিকদের বলেছেন,‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে, ভোট গ্রহণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কোনো একটি পক্ষ বা কোনো একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রভাবিত করতে পারছেন। ফলে, আমাদের দৃষ্টিতে মনে হয়েছে, ভোট গ্রহণ নিরপেক্ষ হচ্ছে না।’
মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রেই নৈরাজ্য হয়নি। ঢাকায় কমিশন ভবনে বসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এতগুলো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত ইসি কীভাবে নিল- তা বোধগম্য নয়।
আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ‘কোনো একটি পক্ষ বা কোনো একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রভাবিত করতে পারছেন’- এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে চাই।এই পক্ষ বা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এতো ক্ষমতা কভিাবে পেলেন যে তিনি পুরো ভোট কেন্দ্রকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারলেন! সেখানে আইন শৃংখলা রক্ষীবাহিনী, প্রশাসনের ভূমিকা তা হলে কী ছিলো! আমার মনে হয়- এই প্রশ্নের উত্তরর মধ্যে ভবিষ্যতের নির্বাচনের গতিপ্রকৃতির একটি ধারনা পাওয়া যাবে।
ভবিষ্যতের গ্রহণযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে গাইবান্ধার নির্বাচনে প্রশাসনের ভূমিকা গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা দরকার। প্রশাসনের দায়িত্ব পালনে কোনো ব্যত্যয় পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
লেখক: শওগাত আলী সাগর: প্রধান সম্পাদক, নতুনদেশ