মন তো শরীরেরই অংশ,মনের যত্ন নিন
শওগাত আলী সাগর: ১.আপনার শরীর অসুস্থ হয়ে পরলে আপনি চিকিৎসকের কাছে যান, শরীরের কোনো অঙ্গ অসুস্থ হলেও তো যান, তাই না! তা হলে মনের অসুখ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন না কেন! মন তো আপনার শরীরেরই অংশ, অঙ্গ! হ্যাঁ, আপনার হাত, পা, চোখ, নাকের মতো আপনার মন দেহের একটি অংশ, এটিও একটি অঙ্গ।
শরীরের যেমন যত্ন নিতে হয়, মনেরও যত্ন নিতে হয়। মনের যত্ন নিন।
২. মন খারাপ হলে কথা বলুন, কারো সাথে সেটা শেয়ার করুন। আনন্দের কথা, বেদনার কথা, হতাশার কথা, আাপনার যদি কোনো কারনে মরে যেতে ইচ্ছে করে, আপনার যদি মনে হয়- এ জীবন অর্থহীন- তা হলে সেই কথাটিও আপনার প্রিয় কাউকে, পছন্দের কাউকে, বিশ্বস্থ কাউকে বলুন। কাউকে না পেলে একা একা জোরে জোরে শব্দ করে বলুন। তবে কারো সাথে বলাটা ভালো, আর কাউকে বলাটা, বলতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ।
৩. পশ্চিমের অনেক দেশেই মন খারাপ হলে, বিষন্নতা পেয়ে বসলে নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করে কথা বলা যায়। পেশাদার লোকজন তখন প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়। এতে তাৎক্ষণিক ‘মরে যাওয়ার’ ইচ্ছেটা দুর হয়। মানুষ সুস্থ থাকার কারন উপলব্দি করতে পারে। পৃথিবীর সবদেশে রাষ্ট্র তার নাগরিকদের জন্য এই সব সুযোগ সৃষ্টির কথা ভাবে না। তাতে কি! আপনি আপনার কথা ভাবেন।
৪.’মানসিক স্বাস্থ্য’ টার্মটাকে ইতিবাচকভাবে দেখার চেষ্টা করুন। দাঁতের ডাক্তার, চোখের ডাক্তার মনের ডাক্তার- পার্থক্য টা কী! মন তো শরীরেরই অংশ, তার পরিচর্য্যা দরকার, তাকে সুস্থ রাখতে হয়। তার জন্য দরকার কথা বলা, যতো বেশি সম্ভব কথা বলা। মনের দুয়ার খুলে দিয়ে ভেতরে জমে থাকা বাতাসটাকে বেরিয়ে যেতে দিতে হয়।
৫. মন শরীরেরই একটা অংশ, মানব দেহের অন্য সবকটি অঙ্গের মতোই এই অঙ্গেরও যত্ন নিতে হয়।