কানাডায় ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের সাবেক ছাত্রদের পিকনিক
অনলাইন ডেস্ক:গত ২২শে আগষ্ট শনিবার টরোন্টোর অদূরে অশোয়া উপশহরের লেকভিউ পার্কে কানাডা প্রবাসী ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের (রেমিয়ান) পিকনিক অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ দুবছর করোনা অতিমারীর কারণে যেকোনো প্রকার জনসমাবেশের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা আইন তুলে নেয়ায় এবারের পিকনিকে সকল রেমিয়ান ও তাঁদের পরিবার পরিজনদের অংশগ্রহণ ও উপস্থিতি ছিল স্বতঃ স্ফুর্ত । স্কুল জীবনের শুরুতে নেয়া “উৎকর্ষ সাধনে অদম্য” মন্ত্রের প্রতিফলন যেন ছিল পিকনিকের সারাটা দিন।
১৯৬৮ সাল থেকে শুরু করে ২০১৮ সালের ৬০+ জন রেমিয়ান ও তাঁদের পরিবারবর্গসহ মোট ১৮০+ এই পিকনিকে অংশগ্রহণ করেন। মেজর জেনারেল আশফাক (অবঃ) ৬৮/৭০ , বর্তমান বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট ফারুখ হাসান ৭৮/৮০ থেকে শুরু করে সর্বকনিষ্ঠ ২ রেমিয়ান কুন্তল ১৬/১৮ এবং আবরার ১৮/২০ এর বয়স এর ব্যাবধান বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি রেমিয়ানদের ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে।
রেমিয়ান কাজী আফতাব ৭৩/৭৪, রেহান রেজা ৬৯/৭১ এবং শাহেদ আজিজ ৮০/৮২ এর স্বাগত বক্তব্যে এই ভ্রাতৃত্ব বন্ধন কে আরও শক্তিশালী করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
গত কয়েক সপ্তাহ গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহ থাকলেও পিকনিকের দিনের আবহাওয়া ছিল চমৎকার। সারাদিন খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি রেমিয়ান ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ব্যস্ত ছিলেন বিভিন্ন ধাঁধা প্রতিযোগিতা ও উপভোগ্য খেলায়। ছিল বাচ্চাদের জন্যে বেলুন টুইস্টিং এবং জিন্নাহর ৯৭/৯৯ ফেইস পেইন্টিং। পার্কের গাছের ছায়ায় পেতে রাখা পিকনিক বেঞ্চে বসে অনেক রেমিয়ান ফিরে গিয়েছিলেন তাঁদের ফেলে আসা সেই ৫৬ একরের রেসিডেন্সিয়াল মডেলের দিনগুলির স্মৃতিতে।
নিজেদের শত ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও আয়োজকরা এমন সফল অনুষ্ঠান সম্ভব করেছেন তাঁদের নিরলস পরিশ্রম আর একনিষ্ঠ দায়িত্ববোধ থেকে। অসংখ্য স্বেচ্চাসেবক এই আয়োজনকে করে তুলেছিলো আনন্দঘন। সমগ্র অনুষ্ঠানের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ছিলেন কামরুল আলম ৯৩/৯৫ এবং সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মাহবুব ৮৭/৮৯, আরিফ ৯৯/০১, ঊমার ০১/০৩, নাজিম ৯৯/০১, গোলাম রাসুল ৯৮/০০ সহ অনেকে।
পিকনিক পরিকল্পনায় প্রথম থেকে সহায়তা করা সোহেল ৯২/৯৪ শেষ মুহুর্তে অংশগ্রহণ করতে না পারলে তার সোরসিং করা খাবার এর প্রশংসা বাকি দিনটুকু সবার মুখে মুখে ছিল। আরেকজন পরিকল্পনাকারী ইরফান ৯২/৯৪ এর চা এর আয়োজন সব রেমিয়ানকে সারাদিন চাঙ্গা করে রাখে।
আমিরুল সুমন ৯২/৯৪, মুস্তাক সারোয়ার ৯৫/৯৭ এবং কামরুল হাসান ৯৮/০০ এর পরিচালনায় বাচ্চাদের এবং বড়দের মজাদার খেলা গুলা সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়। ধাঁধায় পর্ব ছিলও খুবই আনন্দদায়ক। ভাবীদের ধাঁধায় মাতিয়ে রেখেছিলেন মাক্সুদ ৮৭/৮৯। আর বাচ্চাদের ধাঁধা পর্ব পরিচালানা করেছিলেন রেমিয়ান সন্তান আব্দাল্লাহ । শাহরিয়ার মুরশেদ সানি ৮৬/৮৮ এর মসৃণ সঞ্চালনায় সারাদিন ছিল মুখরিত।
নাফেহ ০৮/১০, রকিব ০৮/১০, শায়খ ১১/১৩, এহসান ৯৬/৯৮ সহ আরও অনেক রেমিয়ান দিন ভর ব্যাস্ত ছিলেন সার্বিক ব্যবস্থাপনায়। তবে পিকনিক সফল হবার পিছনে আসল প্রশংসার পূর্ণভাগীদার সকল রেমিয়ান ও তাঁদের পরিবারবর্গ। সোনিয়া ভাবী এবং বাচ্চারা , শান্তা ভাবী, মাসুমা ভাবী, শারমিন ভাবী, লুশানা ভাবী, তারান্নুম ভাবী, মাহা ভাবী, মলি ভাবীদের সার্বিক সহযোগিতায় রেমিয়ান পরিবারবর্গ একটি চমৎকার দিন উপভোগ করেছেন।
দিন শেষ হয়ে আসছিল, কিন্তু মজাদার খাওয়ার আয়োজন শেষ হচ্ছিল না। বিকালে বাচ্চাদের পিনিয়াটা ভেঙ্গে চকলেট নিয়ে কাড়াকাড়ি ছিল দৃষ্টিনন্দন। খলিল ৮৭/৮৯ এবং নিলুফার ভাবীর ঝালমুড়ি আর তারেক ৯১/৯৩ এবং মাহফুজ (আকা) ৯১/৯৩ জুটির কাটা তরমুজ দিয়ে খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষ হয়।