Thu, Jun 17, 2021 8:15 PM
শামীম আহমেদ : করোনাভাইরাসের গতি-প্রকৃতি, ধরণ, গঠন নিয়ে যখন গবেষকদের পরিষ্কার ধারণা ছিল না; তখন আপদকালীন ব্যবস্থা হিসেবে সোশাল এন্ড বিহেভিয়ারাল হেলথ সায়েন্টিস্টরা মানুষকে হাত ধোয়া, মাস্ক পরা ও দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলেছেন।
কিন্তু বাংলাদেশের মতো জনবহুল, দরিদ্র দেশে মাস্ক পরে, হাত ধুয়ে করোনা কিছুদিন হয়ত ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব, কিন্তু বছরের পর বছর আটকে রাখা সম্ভব না। করোনা থেকে বাচার একমাত্র উপায় তাই ভ্যাক্সিন।
বৈশ্বিক মহামারীতে হার্ড ইমিউনিটি হয় না। স্প্যানিশ ফ্লুর সময় ১৯১৮-২১ সালে হয়নি, করোনার ক্ষেত্রেও হবে না। সবাইকে ভ্যাক্সিনের আওতায় আনতে হবে।
পৃথিবীর নানা দেশ যখন ভ্যাক্সিন দিয়ে আস্তে আস্তে করোনামুক্তির রাস্তায় হাটছে, তখনও আমরা ভ্যাক্সিনের জন্য হাহাকার করছি। এর অর্ধেক দায় ভারত সরকারের করোনা মোকাবেলায় ব্যর্থতা এবং চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বকে করোনার ভ্যাক্সিন দিতে না পারা; বাকি ব্যর্থতা আমাদের সরকারের - তারা ভারত এবং দেশীয় একটি ওধুধ কোম্পানীর উপর অন্ধ ভরসা করে জনগণকে অদ্ভুত ভ্যাক্সিনহীনতায় রেখেছে।
লেখক: শামীম আহমেদ, জনস্বাস্থ্য বিষযক গবেষক