টরন্টোয় অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা
“অনন্ত অসীম প্রেমময় তুমি বিচার দিনের স্বামী ।
যত গুনগান হে চির মহান তোমারি অন্তর্যামী।”
অগ্রনী’র প্রাক্তনদের সুরে সুরে মুখরিত হয়ে উঠেছিল আজ ড্যানফোর্থের লবঙ্গ ফাইন ডাইনিং।
১৯৭৫ থেকে শুরু করে ২০০৩ সালের এস. এস. সি ব্যাচ পর্যন্ত অনেকেই যোগ দিয়েছিলেন টরন্টো তে অনুষ্ঠিত অগ্রনী’র এ প্রাণের মেলায়। প্রিয় শিক্ষক রুবি আকরামের উপস্থিতি এ আয়োজনে যেন বিশেষ মাত্রা এনে দিয়েছিল। “তোমাদের সেই ছোট ছোট মুখ গুলো সব সময় আমার মনে থাকে এবং থাকবেও সারা জীবন” – প্রাক্তনদের উদ্দেশ্যে তার এ বক্তব্য সবাইকে আবেগ আপ্লুত করে। প্রথমে স্কুলের অনুকরণে প্রত্যেকের নাম ডেকে ছাত্রীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন, তারপর তিনি সবার হাতে তুলে দেন উপহার। এ সময় সবাই যেন ফিরে যায় বাংলার শিক্ষিকা, বর্তমানে অবসর প্রাপ্ত রুবি আপার ক্লাসে – যার যার আসন থেকে উপস্হিত আপা, প্রেজেন্ট প্লিজ, এবসেন্ট শব্দে ডাইনিং রুমটি যেন হয়ে ওঠে একটি স্মৃতি জড়ানো ক্লাস রুম।
কেক কাটা এবং সবাই মিলে অনন্ত অসীম গেয়ে ওঠা যেন সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল স্কুলের সবুজ মাঠের সেই পুরানো দিনের এসেম্বলিতে। আড্ডা, ছবি তোলা আর স্মৃতির ঝুলি খুলে সবাই মেতে উঠেছিল উচ্ছল আনন্দে।
৯৫ ব্যাচের আলিয়া রহমান বিন্দির উৎসাহে সাড়া দিয়েই তার সহপাঠি বন্ধু জেসমিন আক্তার, ৯২’র মাহজাবিন ইয়াসমিন এবং ৯৩’র বুশরা জেবীন শুক্তি ও জানা শাম্মী মিলে তোড়জোড় করে আয়োজন করে এ মিলন মেলার। আয়োজকরা অংশগ্রহনকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ ব্যস্ত প্রবাস জীবনে সবাই মিলে ছোট বেলার নানা রংয়ের দিন গুলোতে ফিরে যাওয়া আর আনন্দ মেতে ওঠাই এ অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য।
পরবর্তিতে পুরো নর্থ আমেরিকা জুড়ে অবস্থানরত অগ্রনীয়ানদের নিয়ে বড় করে আয়োজনের প্রথম ধাপ ছিল টরন্টো’র এ আয়োজন। বিজ্ঞপ্তি।