Sun, Apr 4, 2021 1:32 PM
হাকিকুল ইসলাম খোকন: বুকভরা কষ্ট নিয়েই চলে গেলেন লেখক এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মদ, যাকে রাষ্ট্র স্বাধীনতা পুরষ্কারে ভূষিত করেও পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়। গত ২ এপ্রিল গাঙচিল এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ খান আখতার এর ফেইজবুক থেকে তাঁর মৃত্যুর খবর জানা যায়।
এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মদ ১৫ জানুয়ারি ১৯৬০ সালে নড়াইলের লোহাগড়ার কুমড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা রইজ উদ্দিন ১৫ জানুয়ারি ২০২০ সালে খুলনা বিভাগীয় উপভূমি সংস্কার কমিশনারের পদে থেকে অবসরে গেছেন। তিনি গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি। তিনি ছিলেন ৮ নম্বর সেক্টরের অধীনে মুক্তিযোদ্ধা।
।এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মদ কবিতা, ভ্রমণ কাহিনী, প্রবন্ধ ও উপন্যাসের পাশাপাশি নড়াইল, পিরোজপুর, পাবনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ইতিহাস নিয়ে বই লেখেছেন। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: কেমন করে স্বাধীন হলাম (কবিতা), পুষ্পিতারণ্যে বিথী (উপন্যাস), পরলোকে মর্তের চিঠি (পত্রোপন্যাস), রবীন্দ্রজীবনে ভবতারিনীর প্রভাব ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (প্রবন্ধ), দেখে এলাম নেদারল্যান্ড: ভূমি প্রসঙ্গ (ভ্রমণ কাহিনী), আগস্ট ট্রাজেডি ও তারপর! (ইতিহাস)।
২০২০ সালে সরকার কর্তৃক এই মহান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখককে স্বাধীনতা পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়। পরে সেই পুরষ্কার বাতিল ঘোষনা করা হয়।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি’র চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মহাসচিব এ্যাড. সাইফুল ইসলাম সেকুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আল আমিন।
নেতৃবৃন্দ শোক বিবৃতিতে বলেন, একজন মহান বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান জানাতে না পারলেও অসম্মান জানোনোর অধিকার কারও নেই। রাষ্ট্র কর্তৃক তাঁর সম্মান ও মর্যাদা যেভাবে কেড়ে নেয়া হয়েছে তাতে জাতি হিসেবে আমরা লজ্জিত। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে অনেক অর্জনের মাঝেও এই লজ্জা আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে। আশা করবো রাষ্ট্র এ বিষয় নতুন চিন্তা করবে। আমরা তাঁর বেদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করি। তিনি তার লিখনীতেই আজীবন বেচে থাকবেন। আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুক।